মারধর ও জোর করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন হাজী বাড়ির সন্তান শেখ মনিরুজ্জামান এলু। তিনি প্রয়াত জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা শেখ আবুল কাশেমের ভাইপো। গত শনিবার ও রোববার নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
মামলা দুটিতে খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শওকত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী, ২৪নং ওয়ার্ডের মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ফারজানা হক ববি, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুল হক নাসির, অ্যাডভোকেট সেলিম আল আজাদ, শাকিল আহমেদ, ডিউক, জন, সোহেল, শাকিল, রেজাসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সোনাডাঙ্গা থানার মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, নিরালা এলাকায় পৈত্রিক জমিতে খাজা এন্টারপ্রাইজ নামে আমার ইট-বালুর বিক্রির দোকানে অন্যায়ভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন ফারজানা হক ববি। বিষয়টি নিয়ে আমি আদালতে মামলা করলে বিভিন্ন সময় মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রাত ৯টার দিকে আসামিরা আমাকে তুলে শেরে বাংলা সড়কের শেখ জুয়েলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েক দফা আমাকে মারধর করে বেশ কিছু স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়।
রোববার দায়ের করা মামলায় শেখ জুয়েল ও আবেদ আলীর নাম নেই। ইে মামলায় মনিরুজ্জামান এলু অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট দুপুর দেড়টায় আসামিরা আমার খাজা এন্টারপ্রাইজে এসে আমাকে মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে এবং টাকা লুট করে।
সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার ওসি জানান, মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়