ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের পথে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে এক পাচারকারিসহ আরো সাত বাংলাদেশিকে আটক করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে বিজিবি। শুক্রবার বিকালে ও শনিবার সকালে পৃথক অভিযানে সাতক্ষীরার ভোমরা, তলুইগাছা ও কুশখালী এবং কলারোয়ার হিজলদী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের আলীম গাজী (২০), কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আলম হোসেন (৪৫), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের রবিউল ইসলাম (২২), যশোরের সিকারপুর গ্রামের আসাদ সরদার (৪৫), নারায়নগঞ্জ জেলা সদরের সাতগ্রাম গ্রামের মৃত মুসলিম খানের মেয়ে মোছাঃ সোনিয়া আক্তার (২২), শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার চর গাজীপুর গ্রামের সাত্তার মাদবরের মেয়ে মোছাঃ জেসমিন (২৬) ও পাচারকারি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়ালি গ্রামের মোঃ মোশারফ হোসেনের ছেলে মোঃ হাসানুর রহমান (২৩)।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের ভোমরা, তলুইগাছা, কুশখালী ও হিজলদী বিওপি’র টহল দলের সদস্যরা শুক্রবার বিকালে ও শনিবার সকালে সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে একজন পাচারকারিসহ সাত জনকে আটক করে। করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি’র কঠোর নজরদারি থাকার কারনে তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সাতক্ষীরা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিজিবি’র টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। আটককৃতদের জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে।
এছাড়া গত ২৮ এপ্রিল হতে ৫ জুন পর্যন্ত বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারী, টহল তৎপরতা এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে মোট ৩১ জন বাংলাদেশী নাগরিক এবং ২ জন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয় বলে জানান ওই বিজিবি কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম