সাতক্ষীরা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ন এলাকার সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বিজিবি’র পক্ষ হতে সীমান্তে সর্বদা কঠোর নজরদারি অব্যহত রয়েছে। অবৈধভাবে যাতে কেউ সীমান্ত পারাপার না হতে পারে সেজন্য পুরো সাতক্ষীরা সীমান্ত জুড়ে বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ -ভারত সীমান্ত দিয়ে জনগণের অবৈধ গমনাগমনের মাধ্যমে ভ্যারিয়েন্টটি বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী ভোমরা, গাজীপুর, কুশখালী, কালিয়ানী, মাদরা, কাকডাঙ্গা ও তলুইগাছা এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজিবি। এলাকা সমূহে অবৈধ গমনাগমন প্রতিরোধে বিজিবি বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় গত ২৮ এপ্রিল হতে ৫ মে পর্যন্ত ৭ দিনের জন্য ‘সীমান্তে অবৈধ গমনাগমন প্রতিরোধ সপ্তাহ’ পালন করা হয়। পরবর্তীতে ওই কার্যক্রমের সময়সীমা বৃদ্ধি করে বর্তমানেও অব্যহত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৩ বিজিবি সাতক্ষীরার সদস্যরা সীমান্তে ৫৯০টি মোবাইল টহল পরিচালনা করেছে এবং অবৈধভাবে যাতায়াতের অভিযোগে ৮ জনকে আটক করেছে। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে বিজিবি’র এসব কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ জেলার সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত মোবাইল টহল কার্যক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা প্রতিরোধে তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এধরনের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই