পশ্চিম বনবিভাগের আওতাধীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীস্থ বনবিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
মধু আহরণ মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহাম্মাদ মহসীন হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কান্তি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তারুজ্জামান ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম.এ হাসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২শ কুইন্টাল মধু ও ২৬৫ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কুইন্টাল মধুর জন্য সরকারকে ১ হাজার ৬শ’ টাকা এবং মোমের জন্য ২ হাজার ২শ’ টাকা রাজস্ব দিতে হবে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতায় মৌয়ালরা সুন্দরবনের পুষ্পকাটি, নোটাবেকী, দোবেকি ও কাচিকাটা এলাকায় মধু আহরণ করতে পারবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৫জন মৌয়ালকে আনুষ্ঠানিকভাবে মধু আহরণের অনুমতি প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ১ এপ্রিল মধু আহরণ মৌসুম শুরু হলেও এবার এগিয়ে এনে ১৫ দিন আগেই মধু আহরণ মৌসুম উদ্বোধন করা হয়েছে। চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত।
শ্যামনগরের গাবুরা গ্রামের বাওয়ালী ফারুক ও রব্বানীসহ অনেকে জানান, বর্তমানে সুন্দরবনে বনদস্যু না থাকায় নির্বিঘ্নে মধু আহরণ করা যাবে। তবে মাছ ধারার পাশ নিয়ে জেলেরা সুন্দরবনে গিয়ে অনেক সময় চুরি করে মধু কেটে নিয়ে যায়। বনবিভাগের লোকজন যদি এই চুরি বন্ধ করতে পারে তাহলে এবার আশাব্যঞ্জক মধু পাওয়া যেতে পারে।
সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এম এ হাসান জানান, সুন্দরবনে নির্বিঘ্নে মধু আহরণের জন্য বনবিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া বন্যপ্রাণীর আক্রমণ হতে রক্ষার জন্য মৌয়ালদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই