সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর দাবি জানিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের পক্ষে ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবিতে সর্বপ্রথম ২০১৪ সালে মানবন্ধন, স্মারকলিপি, রক্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি করে ২০১১-২০১২, ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থীবৃন্দ। কিন্তু আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থামিয়ে দিলেও তা পূর্ণতা পায়নি। পরবর্তীতে একই দাবিতে ২০১৫ সালেও আন্দোলন করে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ব্যাচের সকল ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। একইভাবে ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জরুরি বিভাগ চালুর জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ নিয়মিতভাবে আন্দোলন করে আসছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার আশ্বাস ও ভয়ভীতি প্রদান করে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে জরুরি বিভাগ চালুর আর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ২০২০ সালের ৫ ফেব্র“য়ারি একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ১২ ফেব্র“য়ারি আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা আরো বলেন, সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ সামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর জন্য কর্ম বিরতিতে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও জরুরি বিভাগ চালুর নিমিত্তে কোন আশানুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সামেক হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ৭দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর জরুরি বিভাগ উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেই সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো তাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ কর্ম বিরতিতে থাকবো এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি পালন করবো। এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ রফিকুল ইসলাম মেহেদী, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নয়ন চন্দ্র হালদারসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম