আদালতে আসামী আত্মসমর্পনের সূযোগ না থাকায় হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার না করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে ব্যবসায়ি মোঃ আনারুল ইসলাম রোববার (২৭) এ আবেদন জানান।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে লেখা আবেদনপত্রে আনারুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন যে, সুলতানপুর বড়বাজারে নিউ মদিনা হার্ডওয়ার এর রং ঘর নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়িক সুবিধার্থে তিনি চার বছর যাবৎ মোঃ মাহাবুবুর রহমান ওরফে জনির কাছ থেকে একটি গুদাম ঘর ভাড়া নেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স¤প্রতি ওই গুদাম ঘর ছেড়ে দিলেও পিছনে রাখা একটি থাকা ছিল। ওই থাকা সরানোকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জুন দুপুর দু’টোর দিকে তার ভাইপো আরাফাত রহমান রাব্বীর সঙ্গে বচসার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। আরাফাতকে রক্ষায় ম্যানেজার মোঃ মোর্শেদ মোল্লা এগিয়ে গেলে তাকে ও মারপিট করা হয়। আরাফাতকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ১৯ জুন মোঃ মাহাবুবুর আলমসহ তিনজনের নামে মামলা করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থলে না থাকার পরও তাকেসহ (আনারুল ইসলাম) মাহাবুবুর রহমান, মোঃ রাজ, মোঃ বাবলু, মোঃ মনা ও হারুনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলার খবর পেয়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের চেষ্টা করলেও আত্মসমর্পণকৃত আসামীর জামিন শুনানীর নির্দেশনা না থাকায় তারা ফিরে এসে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা কোথায় থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। এ কারণে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত যাতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়।
আনারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের পাশে কয়েকটি সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। এজাহারে (জিআর-৪২২/২১) বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে ছয়জন যে জড়িত ছিল না তা ওই সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই সত্যতা জানা যাবে। তিনি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই