খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
  মানবতাবিরোধী অপরাধ : চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় ফখরুজ্জামান ও সাত্তারের জামিন শুনানি ২ সপ্তাহ পেছাল আপিল বিভাগ
  আজ থেকে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শুরু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

সাতক্ষীরায় ২৪০ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে নিবন্ধিত মাত্র ৭টি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলায় ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছর পর্যন্ত নিবন্ধন নবায়ন হয়েছে মাত্র ৭টির। আর অনলাইনে আবেদন করে নিবন্ধনের অপেক্ষায় আছেন ১১৭টি এবং আবেদন করেনি অথবা করলেও ভিজিটের নির্দেশনা আসেনি ১২৩টি চিকিৎসা সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানের।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার(২৮ মে) অনিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানে খুব দ্রুত অভিযান শুরু হবে।

সাতক্ষীরা জেলা শহরে হাতে গোনা ডজনখানেক চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সবই অনুপযোগী । নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যাক চিকিৎসক ও সেবিকা। ছোট ছোট দোকান ঘরের মতো খুপড়ি ঘরেই প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র ছাড়াই চলছে এসব নামমাত্র ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অভিযোগ রয়েছে, এসব স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসাই বেশি হয়। রোগিদের কাছ থেকে নেওয়া হয় কাড়ি কাড়ি টাকা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, স্যাঁত সেঁতে মেঝে, গলির মতো ছোট পথ, নেই আলো বাতাসের নূন্যতম সুযোগ সুবিধা। বাড়িতে গ্রাম্য দালাল আর শহরে ভ্যান দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রান্তিক পর্যায়ের নিরীহ মানুষ এসব জায়গায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হতে এসে অসুস্থ্য বা পঙ্গু হয়ে অথবা লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরছেন। ফলে তড়িঘড়ি করে নয়, সময় বেধে দিয়ে তদন্ত করে এসব অবৈধ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৮ সালে অনলাইন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। সেই সময়ে আবেদন করেও অনেকের এখনো ভিজিটই হয়নি। চিকিৎসক সেবিকা সংকট তো আছেই। দ্রুত ভিজিট করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনায় বসেও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

সাতক্ষীরা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তড়িঘড়ি নয়, নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে ভিজিটপূর্বক অবৈধ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে বন্ধ করা উচিৎ। নইলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্টরা।

মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হুসাইন শাফায়াত বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত অভিযান পরিচালিত হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য দেওয়া হলেও মালিক সমিতি বলছেন ৩০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে সিবি হসপিটাল ও কেয়ার ক্লিনিক এবং ডিজিটাল ল্যাব এর ৩টি প্রতিষ্ঠানসহ কেয়ার ল্যাব ও শ্যামনগরের ডক্টরস ডোর এই ৭টি প্রতিষ্ঠানের চলতি বছর পর্যন্ত নিবন্ধন রয়েছে। বাকি সবই নিবন্ধন রিনিউ হয়নি ফলে তারা অবৈধ।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!