সাতক্ষীরায় প্রতিবেশির বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পাশে গভীর নলকুপে পানি আনতে যাওয়া নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মুমুর্ষ অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশুর নাম ইস্রাফিল হোসেন (১৪)। সে সদর উপজেলার বালিথা গ্রামের দিনমজুর মুনসুর আলী সরদারের ছেলে ও স্থানীয় শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুল ছাত্র ইস্রাফিল জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে সে প্রতিবেশি আল মাহমুদের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পাশে গভীর নলকুপ পানি আনতে যায়। এসময় কলসে পানি ভরার একপর্যায়ে আল মাহমুদের ছেলে আলমগীর হোসেন তাকে জোর করে ধরে নিয়ে তাদর কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে সেখানেই মৃত ভেবে তাকে ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে ইউপি সদস্য আফছার আলী স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার আব্দুল বারীকে ডেকে আনলে আলমগীরের বাড়িতে রেখেই ইস্রাফিলের চিকিৎসা শুরু করা হয়। একপর্যায়ে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাত দু’টার দিকে ইস্রাফিলকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মজিদ বলেন, ভারী জিনিস দিয়ে আঘাতের ফলে ইসরাফিলের মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া তার বাম পা ও উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভারী জিনিস দিয় আঘাত করে জখম করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইন। লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম