সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করো ১৬ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এসময় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ও র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১০২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৮৩৭ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের বিলাত আলী গাজীর ছেলে মহব্বত আলী গাজী(৬৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১৫ফেব্রুয়ারি তিনি সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে মোট ৩০ জন রোগী। এর মধ্যে ৮ জনের করোনা পজেটিভ ও বাকি ২২ জন সন্দেহজনক (সাসপেক্টেড)। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৬ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১ জনের ও সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯০৯ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৫২৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২৬ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ২৯২ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৮ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২৮৪ জন। জেলায় এপর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরও ৮৩৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৯৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮৩২ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯ লক্ষ ২৮ হাজার ২৭৪ এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৩৩ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লক্ষ ২৩ হাজার ২৭৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৫০ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮১৩ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯৬ হাজার ২৫৯ জন। এছাড়া এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪২ হাজার ৫০৭ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন।
তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এপর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৬২ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১২ লক্ষ ৬ হাজার ১৭৪ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৩২ হাজার ৫৯৮ জনকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই