সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাথরঘাটা এলাকায় খেলার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হওয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু। শুক্রবার বিকালে তিনি নির্যাতিতা ওই শিশুকন্যার বাড়িতে যান এবং সাত বছর বয়সী ওই শিশুকন্যা ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
এসময় ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবেন তিনি। নির্যাতিত শিশুকে মনে রাখতে হবে সে আমাদের মেয়ে, আশা রাখি তার সহ তার পরিবারের সদস্যদের মনোবল শক্ত থাকবে। এসময় নির্যাতিতা শিশু কন্যাকে নতুন জামাকাপড় উপহার দেন তিনি। শিশুটির পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা, ভাংগা খোলা ও পলিথিনের তৈরি ছাউনীর বসতবাড়ি জরাজীর্ণ হওয়ায় নতুন ঘর নির্মাণসহ পরিবারটির যেকোন প্রয়োজনে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করবেন বলে জানান তিনি।
এসময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, স্বদেশ এনজিও’র পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্তসহ স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গত বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া শিশুকন্যাকে (৭) কে একই গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে আলী হোসেন (১৫) খেলার প্রলোভন দেখিয়ে নির্বিঘ্নে নিজ বসত ঘরের ভিতর তুলে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন। এসময় শিশুটি আত্মচিৎকার করে বারবার কেঁদে উঠলেও ধর্ষক আলী হোসেনের কাছ থেকে নিস্তার পাইনি সে। পরবর্তীতে মেয়েটি ঘটনা তার পরিবারকে অবগত করলে ওইদিন তার পিতা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম