গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কয়েকজনের পরিবারের সদস্য ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ২১ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৩৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে যবিপ্রবি ল্যাব থেকে ৩০ জন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ৭ জনের রির্পোট এসেছে।
নতুন করে করোনা আক্রান্তরা হলেন সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার পাপিয়া রহমান (৩৫), একই এলাকার কাজী তাইবুর নেচ্ছা (৭৯),কাজী রাশেদুর রহমান (৫৭), ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ফিল্ড অফিসার কাটিয়া এলাকার রেজাউল (৩৮), মুন্সিপাগা এলাকার ওয়াহিদ আলী (৬৫), রসুলপুর এলাকার সালাউদ্দিন টিটু (৩৬), উত্তর কাটিয়া এলাকার নজরুল ইসলাম (৫২), সদর উপজেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার জাকারিয়া সোহান (৩১), মিলবাজার এলাকায় র্যাব-৬ এর কাজী আইয়াত(৪), সবুজ সরকার(১৭), মোছাঃ সামছুন্নাহার (৩৩), কাজী সিজা (৪), পুরতান সাতক্ষীরা জমিদারবাড়ি এলাকায় ৩১ আনসার ব্যাটলিয়নের সদস্য বশির আহমেদ (৫০), ফারুক (২৬), মোহাসিন (৫০), শরিফুজ্জামান (৪৫) ও মতিয়ার (৪৩), মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার শরিফা জাহান (৩২), কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা সুলতানপুর এলাকার সামছুর রহমান (৭৫), শ্রীকলা গ্রামের মোছাঃ রহিমা (৬৫), গোবিন্দপুর গ্রামের অ্যাডঃ হাবিব (৪২), হোসেন (৩০), একই গ্রামের নাহিদ সুলতানা (১১), আব্দুল করিম গাজী (৫৫) ও মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪৫), কালিগঞ্জ থানার জিয়ারত আলী (৫০), কারবালা ভাড়াশিমলা গ্রামের শেখ মোনাজিত (৪০), শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কামলা (৭০), দেওলিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৪৫), সোনাখালী গ্রামের সুধাংশ (৫৬), কলারোয়া উপজেলার কামারালি গ্রামের গোলাম রসুল (৫০), মুরারিকাটি গ্রামের কাজী জাফর উল্লাহ (৫৫), তালা উপজেলার তালাবাজার এলাকার শিক্ষক অনামিকা কীর্ত্তনিয়া (৩৫), শাহাজাতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫৪), মাঝিয়াড়া গ্রামের এসজিও কর্মী সৈয়দ তারেক মাহমুদ (৩৫), সরুলিয়া গ্রামের শাহ মোঃ জহির (২৮), তালার কুমিরা এলাকার সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন কুমার পাল (৩৮)।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২১ জুলাই পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৪১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৪৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৫৩৯ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকীদের সব নেগোটভ রিপোর্ট এসেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত জেলায় ২৪৯ জনসুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন মোট ১৫ জন।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
থুলনা গেজেট/এনএম