সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ১৮ (সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৭৪ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার শহরের রসুলপুর এলাকার জিএম নুর ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৫৫), কালিগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রামের আমির আলীর ছেলে আবদুল কাদেও (৩৫) ও তালা উপজেলার শালিকা গ্রামের মৃত মহাসিন সরদারের ছেলে মিরাজ আলী সরদার(৭০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাত ১২টা ২৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত মোট ৬৮ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৬৭ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৩ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ১ জন ব্যক্তির করোনা সনাক্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গে মারা গেছে ৩ জন। জেলায় করোনা সনাক্ত হয়েছে মাত্র একজন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮২২ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ২৮৮ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ জন এবং বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২৭৮ জন। জেলায় ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন ৬৭৪ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন।
এদিকে সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৮৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৯ হাজার ৮৩৭ জন।