সাতক্ষীরায় জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ জেলায় নতুন করে আরো ১৬ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে।
করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারীরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভাধীন মুরারীকাটি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান ও কালিগঞ্জ উপজেলার খেতরা রহিমপুর গ্রামের মধু ঢালীর ছেলে মিজানুর রহমান (৫০)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১০ আগস্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ভর্তি হন কলারোয়ার তৌহিদুর রহমান। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তৌহিদুর রহমান মারা যান।
এদিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২২ জুলাই কালিগঞ্জের মিজানুর রহমান সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান। ইতিমধ্যে মৃত দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য কুমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের বাড়ি লকডাউন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
এনিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ১২জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫জন।
অরপদিকে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নতুন করে জেলায় ১৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত মোট ৮৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ১৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এনিয়ে ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম