করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সমাকে) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) ভোর ৫টা ২০ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে কামরুল ইসলাম (৫৩), একই উপজেলার শাহপুর গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৬৫) ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান খাতুন (৩৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা আক্রন্ত হয়ে গত ৬ জুন বেলা সাড়ে ৩টর দিকে কলারোয়ার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সমাকে) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ জুন) ভোর ৫ টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে করোনা আক্রন্ত হয়ে গত ২৭ মে সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন কলারোয়ার শাহপুর গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ জুন) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান খাতুন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
এনিয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৫ জনের আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরো অন্তত ২৪৮ জন।
এদিকে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৯১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম