সাতক্ষীরায় প্রবেশন আইনের আওতায় এক যুবকের দেয়া ৬ মাসের সাজা স্থগীত করে জেল খানায় দাগী আসামীদের সাথে নয়, পারিবারিক পরিবেশে থেকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার ওই আদেশ দেন।
প্রবেশনে মুক্তি পাওয়া আসামীর নাম মোঃ জহিরুল ইসলাম সরদার (২৫)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্বেতপুর গ্রামের আব্দুর গফুর সরদারের ছেলে।
জানা যায়, আশাশুনির শ্বেতপুর গ্রামের জনৈক গ্রাম্য ডাক্তার বলরাম বিশ্বাস তাকে হুমকী ধামকী দেয়ার অভিযোগে আসামী জহিরুল ইসলাম সরদারের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে সেটি তদন্ত শেষে আদালতে বিচরের জন্য প্রেরীত হয়। সাক্ষী-প্রমান শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার আসামীকে ৬ মাসের সাজা প্রদান করেন। তবে ওই সময় আসামী তার প্রথমবারের অপরাধের জন্য আদালতের নিকট ক্ষামা চান এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। ফলে বিচারক বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন আইনের আওতায় তার দেওয়া সাজা স্থগীত করে পারিবারিক পরিবেশে বাবা-মায়ের সাথে থেকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ করে দেন।
আদালতের দেয়া শর্তগুলো হচ্ছে, আসামীকে তার নিজ গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরকে বিনামূল্যে ১ বছর পাঠদান করাবেন, নিজে মাদক গ্রহণ করবেন না এবং মাদকের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রচার চালাবেন, মুক্তিযুদ্ধের বই জোসনা ও জননীর গল্প পড়ে শেষ করবেন এবং পিতা-মাতার সেবা করবেন। আসামী এসব শর্ত টিকঠাক ভাবে মেনে চলছেন কিনা তা দেখভাল করার জন্য আদালত জেলা সমাজ সেবা অফিসের প্রবেশন কর্মকর্তাকে ৩ মাস পর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হলে আসামী জহিরুল ইসলাম সরদারকে চুড়ান্ত ভাবে সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।