খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

সাতক্ষীরার ঘোনায় নৌকা প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবি আ’লীগ নেতৃবৃন্দের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ফজলুর রহমানের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। ঘোনা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার রহিল উদ্দিন ও জেলা আ’লীগের নির্বাহী সদস্য আব্দুল কাদের এই দাবি জানিয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ একে ফজলুল হকের কাছে একটি আবেদন দাখিল করেন।

আ’লীগ নেতাদের দাখিলকৃত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ঘোনা ইউনিয়নে ফজলুর রহমান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পাঠানো প্রার্থী তালিকার তার নাম ছিলনা। কারন তিনি ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাথামিক সদস্যও নয়। তিনি জামায়াতের লোক বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদনে আরো বলা হয়, ২০০২ সালের ১১ জুন রাজকার খালেক মন্ডলের হাতে (বর্তমান যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী হয়ে কারাবন্দী) ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান স্বহস্তে লিখিত অঙ্গিকারনামা দিয়ে জামায়াতে যোগ দেন। অঙ্গিকার নামায় তিনি উল্লেখ করেন আজীবন জামায়াত সংগঠনের সহচার্যে থেকে কাজ করে যাবেন। চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে আসছে। গত ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ তিনি ও তার দা বাহিনীর সদস্যরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর ছিদ্দিক সহ যুবলীগের সভাপতি ইউনুস আলী ও তার বৃদ্ধ পিতা আব্দুল করিমকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এদিন তার দা বাহিনীর সদস্যরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার রহিল উদ্দীন এর বাড়ি ভাংচুর করে। এঘটনায় চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নামে মামলা করে। যার নং জি আর ১৮৬/১৭।

এঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৩ এপ্রিল এক জরুরি সভা ডেকে কমিটির শতভাগ সদস্য রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের কাছে তার বিরুদ্ধে গত ২৯১৯ সালের ৩১ নভেম্বর এক দরখাস্ত দাখিল করা হয়।

দাখিলকৃত দরখাস্তের বরাদ দিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হলে চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সরদার রহিল ও সাংবাদিক বরুণ ব্যানার্জীর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আবেদন পত্রে আরো দাবী করা হয় চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান একজন দূর্নীতি পরায়ন ব্যাক্তি। শহীদ স্মৃতি কলেজের টাকা আত্মসাৎ সহ একাধিক দূর্নীতির ঘটনায় তার নামে দুদকে মামলা আছে। যার নং পিটিশন ৭/১৭। তদুপরি গত ১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দু’জন কর্মীকে তার বাড়ির সামনে ফেলে তার বাহিনীর সদস্যরা কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। তাদেরকে বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাই তার মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রয়োজন দাবি করে এ আবেদন করা হয়।

এব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ এ কে ফজলুল হক বলেন, তিনি একটি আবেদন পেয়েছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে অবহিত করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!