শুক্রবার থেকে খুলনামুখী বাস ও লঞ্চ বন্ধ। রাত থেকে বন্ধ হয়ে নগরীর নৌঘাটগুলো। ভৈরব ও রূপসা নদীর সবগুলো ঘাটে ট্রলার চলাচল বন্ধ শুক্রবার রাত থেকে। সারাদেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে খুলনা নগরী।
এতো বাঁধার পরে ‘বিচ্ছিন্ন’ নগরীতে চলছে সমাবেশমুখী জনস্রোত। ভোর থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিলও বাড়তে থাকে। খুলনা মহানগরী এখন রূপ নিয়েছে মিছিলের নগরীতে।
বেলা ১১টায় নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের বিএনপির সমাবেশ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, তিল ধারণের জায়গা নেই। সমাবেশের সামনে স্থান না পেয়ে নেতাকর্মীরা আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আবার তীব্র রোদের কারণে অনেকে সড়কের পাশে ছায়ায় জড়ো হয়ে আছেন।
নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ ফেরিঘাট মোড় থেকে খানজাহান আলী সড়ক, পাওয়ার হাউজ মোড়ের দুই পাশে শেরে বাংলা রোড ও জব্বার স্মরণীতে অবস্থান নিয়েছেন।
নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে আসা ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাধা কখনো জনস্রোত আটকাতে পারে না। খুলনার গণসমাবেশে এটাই প্রমাণ হয়েছে।
নগরীর কয়েকটি মোড় ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রধান সড়ক থেকে মিছিল আসছে। সবার গন্তব্য ডাকবাংলো মোড়ের সমাবেশস্থল।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, পুরো খুলনা শহর পুরোটা জুড়েই শুধু মিছিল। খুলনা আজ মিছিলের নগরীতে রূপ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর আজ খুলনা বিভাগীয় শহরে দলটির তৃতীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে দুপুর ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়েছে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও
দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।