সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে এক গৃহবধূ নিহত ও মাছ ধরার সময় খোলপেটুয়া নদীতে পড়ে গিয়ে দিগন্ত বৈদ্য (২২) নামের একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামে ও নওয়াবেকী এলাকায় খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে। খোলপেটুয়া নদীতে নৌকায় বসে মাছ ধরার সময় হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবী দিগন্ত বৈদ্যের এখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বজ্রপাতে নিহত গৃহবধূর নাম নমিতা রানী মন্ডল (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের নিরাপদ মন্ডলের স্ত্রী। নিখোঁজ মৎস্যজীবী দিগন্ত বৈদ্যে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়কুপোট গ্রামের সুনীল বৈদ্যের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গৃহবধূ নমিতা রানী মন্ডল আটুলিয়া গ্রামে বাড়ির সামনে উঠানে কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অপরদিকে সুনীল বৈদ্য তার দুই ছেলে দিগন্ত বৈদ্য ও সীমান্ত বৈদ্যকে নিয়ে শুক্রবার বিকালে নৌকা নিয়ে নওয়াবেকী এলাকায় খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল। মাছ ধরার সময় সুনীল বৈদ্য ও সীমান্ত বৈদ্য এক নৌকায় ছিল। অপর আরেকটি নৌকায় ছিল দিগন্ত বৈদ্য। এসময় হঠাৎ করে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হলে তারা জাল তুলে নৌকা নিয়ে তীরে ফিরে আসার চেষ্টা করে। পথিমধ্যে বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটলে দিগন্ত বৈদ্য নৌকা থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। শনিবার সকাল ১০টায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ ঘটনা শোনার পর সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার ও শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন পৃথক দু’টি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াহিদ মুর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের একটি দল এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের কাজ চলছে। এখনো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম