খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে মেসিদের ইতিহাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হোক না মাঠে লিওনেল মেসি, কিন্তু এটি যে শিরোপা নির্ধারণের মঞ্চ। এমন ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই না হলে চলে? কেবল লড়াই-ই নয়, রীতিমতো স্নায়ুক্ষয়ী শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখলেন ফুটবলভক্তরা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা, এরপর টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি শটে ৪-৪, পরবর্তী চার শটে ৪-৪ এবং সর্বশেষ একটি করে নেওয়া শ্যুট আউটে ১-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়েছে মেসির মায়ামি।

ন্যাশভিলের ঘরের মাঠ জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়তে নেমেছিল মায়ামি। জয় পেলে ইতিহাস হতো স্বাগতিক ন্যাশভিলেরও। মাঠে বসে ৩০ হাজার দর্শক পুরো ম্যাচে দেখেছেন টান টান উত্তেজনাপূর্ণ এক লড়াই। বলতে গেলে একেবারে পয়সা উসুল ম্যাচ!

লিগস কাপের পুরো আসরজুড়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন সদ্য পিএসজি ছেড়ে মায়ামিতে যোগ দেওয়া আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর। আগের ৬ ম্যাচেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করেছেন ৯টি গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট। ফাইনালের মঞ্চেও তিনিই মায়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন। তবে সেই লিড দ্বিতীয়ার্ধের পর আর তার দল ধরে রাখতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে ন্যাশভিলে সমতায় ফেরার পর জালের দেখা পায়নি আর কোনো পক্ষই।

চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে ম্যাচটি এরপর টাইব্রেকারে গড়ায়। পেনাল্টি শ্যুট আউটেও কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নয়। শুরুতেই দলের উত্তেজিত মনোভাবকে স্বস্তিতে রূপ দিতে শট নেন মায়ামি অধিনায়ক মেসি। চোখের ইশারায় গোলরক্ষককে অন্যপাশে ঠেলে দিয়ে তিনি ডানপ্রান্ত ধরে বল জালে পাঠান। এরপর একে একে দুই দলের সবাই গোল করতে থাকেন। তবে ন্যাশভিলে দ্বিতীয় শট এবং মায়ামি চতুর্থ চেষ্টায় সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪।

এরপর আরও চারটি করে শট নেয় মায়ামি ও ন্যাশভিলে। প্রতিটি শটেই গোল পায় উভয়পক্ষ। তখন ফল নির্ধারণের দায়িত্ব পড়ে দুই দলের গোলরক্ষকদের ওপর। মায়ামি গোলরক্ষক গোল পেলেও, ন্যাশভিলের শট ঠেকিয়ে দেন মেসিদের কিপার। এরপরই দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে ভোঁ দৌড় দেন সাবেক বার্সা ও পিএসজি তারকা। এ যে আরও একটি শিরোপা জয়ের গৌরব!

এর আগে ২৪তম মিনিটে সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবলিংয়ে বোকা বানান মেসি, এরপর বাঁ-পায়ের সেই চিরচেনা শট। ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে নেওয়া তার শটটি ন্যাশভিলে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। এ নিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে গোল পেলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। যার ওপর ভর করেই জয়খরায় ভোগা মায়ামি এতদূর এসেছে। এটি চলমান লিগে মেসির দশম এবং ফাইনালের মঞ্চে ৩৭ গোল।

১-০ ব্যবধানে লিড নেওয়া মায়ামি দ্বিতীয়ার্ধেই কর্তৃত্বের আসন হারায়। ম্যাচের শুরু থেকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকা ন্যাশভিলে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই সফলতা পায়। ৫৭তম মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল কয়েকজনের গাঁ ছুঁয়ে ফাফা পিকাল্টের কাছে পৌঁছায়। অল্প সময়ের মাঝেই তাকে হেড করতে হতো। হাঁটু মুড়ে নিচু হয়েই তিনি হেড দিয়ে সেটি জালে পাঠান। ওই গোলে সমতা আনে ন্যাশভিলে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!