খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলো বলেই তালপট্টি, তিনবিঘা করিডোর, পানিচুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, সমুদ্র সীমা অর্জন, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মান, পদ্মা সেতু নির্মান করে দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। জনগণ এখন মাথা উঁচু করে বিশ্বকাতারে দাড়াতে পারে। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন মানেই গণতন্ত্র, উন্নয়ন, দেশ ও জাতির নিরাপত্তা।
কিন্তু এই পথপরিক্রমার প্রতিটি দিন ছিল একসময় দুঃস্বপ্নের মতো। নির্বাসিত জীবনের প্রতিটি দিন কেটেছে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা নিয়ে। তবুও দমে যাননি তিনি। সব ষড়যন্ত্র ও প্রুতিকূলতা মোকাবিলা করে, নিয়মিত বুলেট-বোমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, আজকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এক অদম্য বাংলাদেশকে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে, বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বুকে তুমুল প্রাণের গণজোয়ার নিয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার প্রথম প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির হাত থেকে বিজয়ী বাঙালি জাতির স্বকীয় রক্ষার জন্য, আর দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনটি বাংলাদেশকে জঙ্গিগোষ্ঠীর কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতিটি প্রত্যাাবর্তন বিশ্বের বুকে নন্দিত বাংলাদেশ গড়ার ইতিহাসের একেকটি অনবদ্য মাইলফলক।
সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতী সোহরাব হোসেন শিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি