পিঠা পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া ভার।শীত এলেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে। নানা রঙের পিঠা তৈরি হয় ঘরে ঘরে। শীতে শহরের অলি গলি কিংবা পাড়া-মহল্লায়ও পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন অনেক। বাহারি ধরনের পিঠা বিক্রি করে আয়ও করেন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ। তেমনি একজন তেরখাদা উপজেলার আরিফ মোল্লা। সবার কাছে ডিম ও ছোলা আরিফ ভাই নামে পরিচিত তিনি।
উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা বাজারের কেন্দ্রীয় জামের মসজিদের সামনে দীর্ঘ এক যুগ ধরে ডিম ও ছোলা বিক্রি করে আসছে। এই শীত মৌসুমে চিতা,ভাজা ও ভাপা পিঠা বিক্রি করে ব্যাপক সাড়া ফেলছে। তার রয়েছে দু জান কর্মচারীও।
স্থানীয়রা জানান, আরিফের পিঠা মানেই অন্যরকম স্বাদ। একের পর এক লাইন ধরে পিঠা কিনছেন ক্রেতারা। দূর-দূরান্ত থেকেও আসছেন অনেকে। ডিম ও ছোলা আরিফ ভাইয়ের পিঠার সুনাম কয়েকদিনে এলাকার আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। গরম পিঠা খেতে সন্ধ্যা থেকে ভিড় লেগে থাকে দোকানে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন নানা ধরনের খাবারের দোকান থাকলেও বর্তমানে আরিফের দোকানের পিঠার জনপ্রিয়তা সবার ওপরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আরিফের ৩টি মাটির চুলায় পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত তার কর্মচারীরা। যেন দম ফেলারও ফুরসত নেই তাদের। কোনো চুলায় ভাপা পিঠা, কোন চুলায় চিতই আবার কোন চুলায় ভাজা পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হচ্ছে।
কর্মচারীরা জানান, শুধু যে সাধারণ মানুষই এই পিঠা খেয়ে থাকেন তা নয়। সব শ্রণি-পেশার মানুষ রাস্তার ধারের পিঠার দোকানের ওপর নিভর্রশীল হয়ে উঠছে । চিতই পিঠার সঙ্গে ডাল, সরিষার ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, মরিচের ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা দেওয়া হয়। ভাপা পিঠা ১০ টাকা, চিতই ৫ টাকা টাকায় বিক্রি হয়। প্রায় এক যুগ ধরে ডিম ও ছোলা বিক্রি করে আসছেন। এবছর তিনি পিঠা বিক্রি করে ক্রেতার চাহিদা বাড়ায় তার দোকানে দুইজন কর্মচারী রেখেছেন। দিন হিসেবে তাদের বেতন দেন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চাউলের গোড়া দিয়ে পিঠা বিক্রি হচ্ছে। সব খরচ মিটিয়ে হাজার টাকার মতো লাভ থাকে বলেও জানান আরিফ মোল্লা।
খুলনা গেজেট/এইচ