স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে আলো ছড়িয়েছে স্বাগতিক দল। ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৫৩ রান।
‘সাগরিকা’ খ্যাত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে মুমিনুল হকের দল পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে।
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৯ রান। টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সবার আগে হারায় সাইফ হাসানকে। শাহীন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে বলে হকচকিয়ে ওঠা সাইফ ক্যাচ তুলে দেন। ১২ বলের মোকাবেলায় ইনিংস থামে ১৪ রানে। এরপর কাকতালীয়ভাবে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত দুজনই ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে, তখন ক্রিজে নেমে খুব সাবধানী ব্যাটিং চালিয়ে যান মুশফিক ও লিটন। দ্বিতীয় সেশনে দুইজনই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন, একইসাথে পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা।
চা বিরতির আগে মুশফিক ও লিটন অর্ধশতক পূর্ণ করেন। নতুন করে কোনো উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭১। দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে লিটন পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। পিছিয়ে ছিলেন না মুশফিকও।
২২৫ বলের মোকাবেলায় ১১টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১১৩ রান করে অপরাজিত আছেন লিটন। মুশফিকও আছেন শতকের পথে। ১৯০ বলে ১০টি চারে ৮২ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। প্রথম দিনের ৮৫ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ২৫৩ রান, ৪ উইকেট হারিয়ে।
মুশফিক-লিটনের ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিই পঞ্চম উইকেটে এখন সাগরিকার সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপের রেকর্ড। একইসাথে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি, পঞ্চম উইকেটে।