খুলনার রূপসা উপজেলার মহিদুল হত্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার আসামী ইমাম হোসেন। আসামী ইমাম(২০) আনন্দনগর গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে। হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ বাচ্চু মোল্লা বাদী হয়ে শনিবার রাতে ৫ জনকে আসামী করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা করলে ইমামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো আনন্দনগর গ্রামের মিজান মোল্লার ছেলে মাসিকুল মোল্লা(২৫), মৃত নূরুল হক মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা(৫০) ও নজরুল মোল্লা(৫৭), নজরুল মোল্লার ছেলে বায়জিদ মোল্লা(২৪)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পুটিমারী বিলের ৩১ শতক জমি নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েকবার শালিসের মাধ্যমে মিমাংশাও করে দিয়েছিল। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের হাইস্কুলের পাশে ওই জমি নিয়ে মহিদুল মোল্লা ও তার আপন চাচাতো ভাই মাসিকুল মোল্লার সাথে কথা কাটাকাটি ও বাক-বিতান্ডা হয়। আকস্মিক মাসিকুল মোল্লা ঘরে গিয়ে ধারালো কুড়াল নিয়ে এসে চাচাতো ভাই মোঃ মহিদুল মোল্লার ঘাড়ে কোপ মারে। এতে ঘটনাস্থলেই ঢলে পড়েন মহিদুল। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মহিদুল মোল্লার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বাবলা দাস খুলনা গেজেটকে বলেন, মামলার ৩ নম্বর আসামী ইমাম পুলিশের জিজ্ঞেসাবাদে হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা জানালে আজ তাকে আদালতে নেয়া হয়। সেখানে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নয়ন বিশ্বাসের আদালতে ইমাম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের হাইস্কুল এলাকায় মহিদুল মোল্লা(৩৫) তার চাচাতো ভাইয়ের ধারালো কুড়ালের কোপে নিহত হয়। তিনি ওই গ্রামের মোঃ ছহির উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন