ঐতিহাসিক যশোর স্টেডিয়ামে স্মরণকালের বৃহৎ জনসভায় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যশোর মেডিকেল কলেজের ৫শ’ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতই সেখানে হাসপাতাল নির্মাণ শুরু হবে। আর স্টেডিয়ামের অবস্থা খুবই খারাপ। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যালারিকে আমরা ১১ স্তর বিশিষ্ট অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম করে দেবো।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোরের অভয়গরে ইপিজেড নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে ৫শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে বহু মানুষের কর্মস্থান হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। যুব সমাজের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। শুধু চাকরি খুঁজলে হবে না। কর্মস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়া যাবে। যুবকদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কেউ বেকার থাকবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছি। দেশের সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করেছি। যশোরে আমাদের সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কৃষকের সব রকম সুযোগ করে দিয়েছি। ১০ টাকায় আজ কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। ১৫ ও ৩০ টাকা কেজি দরে গরীব মানুষ আজ চাল পাচ্ছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির সঞ্চালনায় জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, যশোর সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদসহ বিভন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।