সেনা বাহিনীর পরিচ্ছন্নকর্মী আবুল হোসেন (৪৭)কে ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় গরু ছাগল চরাতে প্রতিবাদ করায় কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসী নেছার আলী। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় বুধবার ১২ অক্টোবর রাতে আহতর জামাতা মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে শাহিনুর রহমান মামলা করেছে। নেছার আলী যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ঝাউদিয়া (পূর্বপাড়া) এলাকার মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে, যশোর মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের মৃত ইয়াকুব বিশ্বাসের ছেলে বাদির শশুর আবুল হোসেন সেনাবাহিনীতে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে চাকুরী করেন। বর্তমানে তিনি ৫৫ পদাতিক ডিভিশন,স্টেশন সদর দপ্তর যশোরে কর্মরত আছেন। গত ১২ অক্টোবর বুধবার দুপুর দেড়টায় আবুল হোসেন ঝাউদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামস্থ ফায়ারিং রেঞ্জ এর উত্তর দিকে ব্রিজের পাশে বটগাছের পাশ^বর্তী এলাকায় ডিউটি করাকালীন উক্ত নেছার আলী ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় গরু-ছাগল ভিতরে ঢুকালে আবুল হোসেন নেছার আলীকে গরু-ছাগল ঢুকাতে নিষেধ করলে সে কোন কথা না শুনিয়া জোর করে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। আবুল হোসেন বারংবার নিষেধ করা সত্বেও নেছার আলী কোন কথায় কর্ণপাত না করে নিজের খেয়াল খুশিমত গরু-ছাগল ভিতরে ঢুকায়ে ঘাস খাওয়াতে থাকলে নেছার আলীর কাছে আবুল হোসেন যায়। তখন নেছার আলী আবুল হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজের এক পর্যায় নেছার আলীর হাতে থাকা ঘাস কাটার কাচি দিয়ে বাদির শ^শুরকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে উক্ত কোপ আবুল হোসেনের মাথার পিছনে লেগে গুরুতর জখম হয়। আবুল হোসেন মাটিতে পড়ে গেলে আরো বেশ কয়েকটি কোপ মাথার পিছনে ও মাথার মাঝখানে লেগে জখম হয়। এক পর্যায় আবুল হোসেন ডাক চিৎকার দিলে আশপাশ হতে লোকজন এগিয়ে আসলে নেছার আলী আবুল হোসেনকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আবুল হোসেনকে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে।