বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এদিন বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়। আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে যশোর শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত ছিল এক হাজার ৮২৯ জন পরীক্ষার্থী। এদিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তারা।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানিয়েছেন, প্রথমদিনের পরীক্ষায় শৃঙ্খলা বর্হিভূত এবং অপ্রীতিকর কোনো কর্মকান্ড ঘটেনি। এবার পরীক্ষার্থীরা ৪০ নম্বরের লিখিত ও ১৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে এক লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৪৮ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৮২৯ পরীক্ষার্থী।
খুলনা জেলায় ৫৮টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার একশ’২৫ জনের মধ্যে অংশ নেয় ২৪ হাজার ৮৮০ জন। বাগেরহাটে ২৭টি কেন্দ্রে অংশ নেয় ১৩ হাজার ৪৫৯ জন। অনুপস্থিত ছিল ১২৯ পরীক্ষার্থী। সাতক্ষীরায় ২৭টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১৮ হাজার ২৮৪ জন। কুষ্টিয়ায় ৩১টি কেন্দ্রে অংশ নেয় ২২ হাজার ৭৮৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৯১ জন। চুয়াডাঙ্গায় ১৮টি কেন্দ্র ১০ হাজার ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১০ হাজার ৪৮২ জন। মেহেরপুরে ১৩টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ৭ হাজার ২২৯ জন। যশোরে ৫২টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৪৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ২৬ হাজার ১৯৭ জন। নড়াইলে ১৪টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১১৮ জন। ঝিনাইদহে ৩৬টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৯০৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১৮ হাজার ৬৩৬ জন। মাগুরায় ১৭টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১১৭ জন।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। কেউ পৌঁছাতে দেরি করলে কেন্দ্রের গেটের সামনে রেজিস্ট্রার খাতায় কারণ ও পরিচয় লিখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। প্রতি বছর সাধারণত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে পেছানো হয় পরীক্ষা। এরপর ১৯ জুন পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে তা আবারও পিছিয়ে যায়। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুরু হয়েছে এবারের পরীক্ষা। এজন্য ঐচ্ছিক তিনটি বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ধর্ম এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না। ক্লাস শিক্ষকরা এসব তিন বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করে দেবেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড