আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরের জনসভার মধ্য দিয়ে করোনা পরবর্তী প্রকাশ্য কোনো জনসমাবেশে আসছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি সভাপতি হিসেবে দেশব্যাপী দলীয় কার্যক্রমেরও সূচনা করতে যাচ্ছেন যশোরের জনসভার মাধ্যমে।
স্বপ্নের পদ্মাসেতুসহ এ অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী যশোরকেই তাঁর প্রথম জনসভার জন্য নির্বাচন করেছেন। এমন তথ্য জানিয়েছেন তাঁর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
শনিবার রাতে প্রেসক্লাব যশোরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মি. তুষার উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম জনসভা যশোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যশোরে জনসভার মধ্য দিয়ে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী দলীয় কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করবেন। এ কারণে এই জনসভাটি বৃহত্তর যশোরের মানুষের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ’।
তিনি বলেন, পদ্মা ও কালনা সেতুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষক বড় স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নই দেখান না, নিজে স্বপ্ন পূরণে নিরলস পরিশ্রম করেন। যশোরে কয়েক হাজার গৃহহীন মানুষের ঘর উপহার দিয়ে স্থায়ী আবাসস্থল তৈরি করেছেন। যা উপকারভোগীরা তাদের জীবনে কোনোদিন কল্পনাও করেনি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার নিউজ কাভারেজে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন সহজ করে তুলতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে যশোরের সাংবাদিকরা অনিশ্চিত সময়ে মধ্যে সাংবাদিকতা করেছেন। সাংবাদিকরা জীবনের ভয়ে পথেও ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারতেন না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় সাংবাদিকদের লেখনিতে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।
মতবিনিমিয়ে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, সাধারণ সম্পাদক ও গ্রামের কাগজ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হক, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাইদ বুলবুলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। মতবিনিময়ের শেষের দিকে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার অংশ নেন।