খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চান দেড় ডজন নেতা, সিদ্ধান্ত আজ

জাহিদ আহমেদ লিটন, যশোর

যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চান আওয়ামী লীগের দেড় ডজন নেতা। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সর্বশেষ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জন। শনিবার মনোনয়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে, কে হচ্ছেন যশোর জেলা পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী, কে পাচ্ছেন দলীয় টিকিট?

আগামী ১৭ অক্টোবর যশোরসহ দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে যশোর আওয়ামী লীগে চলছে প্রার্থী নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর।

গত ১৭ এপ্রিল দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। জেলা পরিষদগুলোতে প্রশাসক নিয়োগের আগ পর্যন্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়।

দেশের ৬১ জেলায় ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করেন। ওই বছরের জানুয়ারি মাসে জেলা পরিষদগুলোর প্রথম বৈঠক হয়। এ কারণে পাঁচ বছরের মেয়াদ গত জানুয়ারিতেই শেষ হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল ৬১টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পরিষদ দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত প্রশাসকরা জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ২৭ এপ্রিল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নির্বাচিত জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার বিদ্যমান আইনের বেশ কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ৬ এপ্রিল জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০২২ সংসদে পাস হয়। আগে নতুন জেলা পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের বিধান থাকলেও চলমান কোনো পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগের বিধান ছিল না। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবেন। তবে প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি হবে না।

জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের দিন ধার্য করে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ফরম জমাদানের শেষ সময়সীমা ছিলো।

সর্বশেষ সময় পর্যন্ত যশোর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৮ জন, অর্থাৎ দেড় ডজন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর এ বিশাল সংখ্যা ইতিপূর্বে কোনো নির্বাচনে দেখা যায়নি বলে যশোরের রাজনীতিবিদের অভিমত।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে যে ১৮ জন নেতা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, পরিষদের বর্তমান প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সহ সভাপতি ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি আলেয়া আফরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মজিদ, খয়রাত হোসেন, আলী রায়হান, গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আবু সেলিম রানা, হারুন অর রশিদ, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লাইজু জামান, বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান হোসেন ও চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম।

সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। তিনি শনিবার দলীয় সভা শেষে যশোরসহ ৬১ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!