যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, খুলনার দৌলতপুরের রোজা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮) বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পরমানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), ও রাসেল হোসেন (১৮)। রাসেল হোসেনের পুরো ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে নাইম হোসেন ধর্ষণ এবং পারভেজ হত্যা মামলায় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ছিল। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রশিক্ষক মুশফিকুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাঁশ, লাঠি-সোটা এবং পরিত্যক্ত জিনিসপত্র নিয়ে দুটি গ্রুপের কিশোর বন্দিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেধড়ক মারপিটে দু’পক্ষের ওই ৩ জন নিহত ও ১০ জন গুরুতর আহত হয়।
যশোর ডিএসবি পুলিশের পরিদর্শক এম মশিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন কিশোর নিহত হয়েছেন। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা সন্ধ্যায় লাশ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। এরপর ঘটনা জানাজানি হয়। কি কারণে এবং কখন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, দু’দল বন্দির মাঝে সংঘর্ষে তিন কিশোর নিহত হয়েছে। কি কারণে এ সংঘর্ষ ঘটেছে পুলিশ সেটা তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার পর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যান যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেনসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ