খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

যশোরে ৯.৮ ডিগ্রী তাপমাত্রাতেও স্কুল খোলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

এবারে শীতে সোমবার (২২ জানুয়ারি) যশোরে সর্বোচ্চ শীত পড়েছে। এদিন জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ এ শীতেও যশোরের স্কুলগুলো যথারীতি চলেছে। নির্দেশনা রয়েছে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

এদিন ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল যশোর শহর ও গ্রামাঞ্চলের পথঘাট। মূলত রোববার রাত থেকেই বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। এর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কনকনে শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না।

এদিকে, তীব্র শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হচ্ছে। রোববার রাজশাহী, দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। সোমবারও এসব জেলার বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করা হবে না। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবারের শীতে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কনকনে এ শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও জেলার স্কুলগুলো খোলা ছিল। যদিও শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকলে সেখানকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অথচ যশোরে এ নির্দেশনা মানা হয়নি। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। যা নিয়ে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যে কারণে এই ছয় জেলায় শীতের তীব্রতা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। এছাড়া, শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি জেলাগুলো হলো, যশোর, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা। এ কারণে এসব জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত পড়ছে। শীতের কারণে যশোরাঞ্চলের মানুষ একরকম গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!