যশোরে পাঁচ লাখ টাকার সৌদি রিয়ালের পরিবর্তে এক ব্যক্তিকে ভিমবার দেয়া হয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি প্রতারকের। শেষমেষ তিনি র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন।
তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পীরেরচর শাহ মল্লিকদি গ্রামের মলকত ফকিরের ছেলে হাসিয়ার রহমান।
এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আক্তার হোসেন। অন্য আসামিরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পীরেরচর শাহ মল্লিকদি গ্রামের মৃত হামিদ খাঁ’র ছেলে সিরাজ খাঁ এবং মৃত আজি বিশ্বাসের ছেলে জিয়া বিশ্বাস ।
আক্তার হোসেন মামলায় উল্লেখ করেন, মাস খানেক আগে ছাতা সেলাইয়ের জন্য সিরাজ খাঁ তার বাড়িতে আসে। সে সময় তার মোবাইল নম্বর নেন সিরাজ। এর ৩/৪দিন পর সিরাজ তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে বলেন তার পরিচিত এক ভাই সুইপার। সে একটি বাড়িতে কাজ করতো। ওই বাড়ির এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর তার ব্যবহৃত কাঁথাবালিস ফেলে দেয়ার জন্য তার ভাইয়ের কাছে দেয়। সে সময় তার ভাই বালিশের মধ্যে রাখা ১০ হাজার সৌদি রিয়েল পান। সে ওই রিয়েল ব্যবহার করতে পারছেন না।
তিনি যদি চান তাহলে ওই সৌদি রিয়েল দিতে পারবেন। এক পর্যায় ১ নভেম্বর তিন আসামি তার কাছে এসে একটি একশ’ টাকার সৌদি রিয়েল দেন। এরপর বাদী তা ভাঙ্গিয়ে দুই হাজার ৭শ’ টাকা পান। এতে বাদী বিশ্বাস করেন ওই রিয়েলগুলো আসল। এরপর তিনি সব রিয়েল পাঁচ লাখ টাকায় কেনার আগ্রহ দেখান। এতে আসামিরাও রাজি হয়।
এরপর ১৩ নভেম্বর নগদ ৫ লাখ টাকা উঠিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যশোরে জেনারেল হাসপাতালের পেছনের একটি গলির মধ্যে যান। সেখানে গেলে আসামিরা একটি কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ হাতে দিয়ে ওই টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে বাদী ব্যাগ খুলে দেখেন তার মধ্যে কোনো সৌদি রিয়েল নেই। আছে শুধু কিছু কাগজ ও একটি ভিমবার। পরে তিনি বিষয়টি র্যাব অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেন। র্যাব সদস্যরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাসিয়ারের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু আসামির জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড