যশোরের হৈবতপুর কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি বাড়ি থেকে তাসফিয়া হক রিয়া (১১) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় গ্রিলের সাথে তার ঝুলানো ছিল। সে ওই এলাকার ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হক লিটন ও স্কুল শিক্ষক খালেদা পারভীন রেখা দম্পতির মেয়ে। সে মানিকদিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে কাজে বের হয়ে যান ব্যবসায়ী লিটন ও স্কুলে চলে যান শিক্ষক খালেদা। এরপর বেলা ১১ টার দিকে লিটন বাড়ি ফিরে মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘরে ডাকতে যান। এ সময় মেয়ের সাড়া না পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান মেয়ের হা পা ও মুখ বাঁধা। আর জানালার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মেয়ে ঝুলছে। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে নিলে ওই শিশু আগেই মারা গেছে বলে জানানো হয়। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তাসফিয়া হক রিয়ার চাচা সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রওশন আলী জানিয়েছেন, এটা একটি হত্যাকান্ড। হাত পা মুখ বাধা ও গ্রিলে ঝুলানো অবস্থায় মেয়েটি উদ্ধার হয়েছে, যা লিটন থানায় গিয়ে পুলিশকে জানিয়েছে। মেয়েটির উপর নির্যাতন চলতে পারে। বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে এলাকার কোনো দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে তাকে হত্যা করে চলে যেতে পারে। তিনি দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত, আটক ও কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। মৃত্যুতে রহস্য থাকায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি