খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  বাংলাদেশী ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি

যশোরে সিজারের সময় রোগীর খাদ্যনালী কাটল ডাক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাজমা খাতুন (৩০) নামে এক নারীকে অপারেশন করতে গিয়ে খাদ্যনালী কেটে ফেলেছেন ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ডাক্তার মাহাফুজা মনির।

নাজমা বর্তমানে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি মণিরামপুর উপজেলা শহরের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী। সন্তান সম্ভবা অবস্থায় যশোর শহরের খালধার রোড বরফকলের পাশের একটি ভাড়া বাসায় তার মা আনোয়ারা বেগমের সাথে তিনি বসবাস করছিলেন।

অসুস্থ নাজমার ভাই রনি জানান, তার বোন নাজমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে গত ৭ জানুয়ারি সকাল দশটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে স্ক্যান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। ভর্তির পরদিন ৮ জানুয়ারি ডাক্তার মাহাফুজা মনির ও তার সহোযোগীরা নাজমার অবস্থা খারাপ উল্লেখ করে তৎক্ষণাৎ সিজার করাতে বলেন। এতে পরিবার সম্মতি হলে তিনি সাথে সাথে তাকে সিজার করেন। এরপর ক্লিনিক থেকে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও তাকে স্ক্যান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন চিকিৎসক মাহাফুজা মনির বলেন, সাত-আটদিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও সুস্থ না হয়ে দিন দিন নাজমা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন নাজমার পরিবারের চাপে ডাক্তার মাহাফুজা মনির সিজার করার সময় খাদ্যনালী কেটে ফেলেছেন বলে স্বীকার করেন। এ কথা শুনে পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হলে চিকিৎসার সকল খরচ বহন করার কথা বলে নাজমাকে খুলনায় নিয়ে যেতে বলেন। এমনকি খুলনায় নিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াও তিনি প্রদান করেন। খুলনায় নেবার পর চিকিৎসা খরচ দিতে অস্বীকার করছেন ওই ডাক্তার।

এ ঘটনায় নাজমা খাতুনের ভাই রনি বাদী হয়ে স্ক্যান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক ডাক্তার মাহাফুজা মনিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, তার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিষয়টি নিয়ে স্ক্যান হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফ হাসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!