যশোরে ২২শ’ ৪৬ বোতল ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার(৮ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্তি জেলা ও দায়ারা জজ প্রথম আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের বুজতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম, নোয়াখালির সেনবাগ থানার আহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও মৃত এরশাদ উল্লা মাস্টারের ছেলে গোলাম মাওলা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আবুল কালাম আটক রয়েছেন ও বাকিরা পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন বেনাপোল থেকে ফিরোজা কার্গো গাড়িতে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান যশোরের দিকে আসছে। সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল যশোর-বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি চালায়। সকাল ৮টার দিকে ফিরোজা কার্গো গাড়িটি চেকপোস্টে আসলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তার ভেতর থেকে ২২শ’ ৪৬ বোতল ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার এবং ওই তিনজনকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। এ ব্যাপারে ডিএডি আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে তিনজনকে আসমি করে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তৎকালিন এসআই মাফুজুল হক এজাহারনামীয় তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদলতে মামলার চার্জশিট জমা দেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই