যশোরের ঝিকরগাছায় ভ্রুণ হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার শার্শা উপজেলার কেরালখালী গ্রামের আব্দুল আলীমের মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, উপজেলার গদখালি গ্রামের পটুয়াপাড়ার খাইরুল হোসেনের ছেলে বাদীর স্বামী নাছিম, তার মা নাছিমা খাতুন ও বোন বীথি খাতুন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট পারিবারিকভাবে অভিযুক্ত নাছিম কেরালখালী গ্রামের আব্দুল আলীমের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় মেয়েকে গহণাসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল দেয়া হয়। তারপরও জেসমিনের ওপর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করলে আসামি নাছিমকে সাড়ে তিনলাখ টাকা দেয় শ্বশুর পক্ষ। তারপরও নাছিম এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী জেসমিনের ওপর অত্যাচার চালায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আল্ট্রাসনো করে জেসমিন অন্তঃসত্ত¡া বলে জানতে পারেন। এরপর আসামিরা জেসমিনকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকে। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় অভিযুক্তরা নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
এক পর্যায়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে যৌতুকের টাকা দাবি করে জেসমিনের সাথে গোলযোগ করে। এরমধ্যে মারপিটের সময় জেসমিনের পেটে লাথি মারলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পরে জেসমিনের রক্তক্ষরণ শুরু হলে আসামিরা তাকে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে রেখে দেয়। এ সংবাদ শুনে ২৫ সেপ্টেম্বর জেসমিনের বাড়ির লোক এসে তাকে নিয়ে যায়। পিটুনীর কারণে এদিন দুপুরে জেসমিনের চার মাস একদিনের ভ্রুণ গর্ভপাত হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন।