যশোরের আরবপুরে আমিনুর রহমান বিশে (৩৫) হত্যা মামলায় আটক তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরা হলো, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আকাশ, মৃত আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম কর্ণ ও একেএম শামসুদ্দিনের ছেলে তাহাসিনুল ইসলাম নাঈম। বৃহস্পতিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে তাদের জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে আসামিরা বলেছে তারা সরাসরি হত্যায় অংশ নিয়ে ছুরিকাঘাত করে আকাশ ও নাঈম। তবে হত্যা মিশনে এজাহার নামীয়রা সবাই ছিল। এ মিশনে একজন গড ফাদার সন্ত্রাসী রয়েছে। তার নির্দেশনায় এ হত্যকান্ড ঘটে। একটি রাজনৈতিক দলের সেল্টারে থাকে ওই গডফাদার সন্ত্রাসী। পুলিশ মোস্ট ওয়ান্টেড সাগরসহ পলাতক ৩ আসামি ও সেই গডফাদারকে খুঁজছে।
উল্লেখ্য, আধিপত্য ও বালি ব্যবসার দ্বন্দ্বে ২১ ডিসেম্বর বিকেলে আরবপুর মোড়ে খুন হয় আরবপুরের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে বিশে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুভ হাওলাদার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাগর, আশরাফুল ইসলাম আকাশ, মৃত হাজী আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম কর্ণ, পুরাতন কসবার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ফেরদাউস হোসেন, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের একেএম শামসুদ্দিনের ছেলে তাহাসিনুল ইসলাম নাঈম হোসেন, এলাকার ওয়াহিদের ছেলে রুবেলসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে। এদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম আকাশ, তরিকুল ইসলাম কর্ণ ও তাহাসিনুল ইসলাম নাঈমকে পুলিশ আটক করে। এরপর তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও আদালতে জবানবন্দি দেয়।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন