খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৫

যশোরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, কষ্টে আছে খেটে খাওয়া মানুষেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে কনকনে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েকদিনের কনকনে শীতের মধ্যে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সকাল ৬ টায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত যশোরের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতে কাহিল এ অঞ্চলের মানুষ ও প্রাণিকূল। তীব্র শীতের সাথে জেলার বেশির ভাগ এলাকায় রাতে ছিল কুয়াশার দাপট। সেই সাথে বয়ে যাচ্ছে উত্তরের হিমেল বাতাস।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, গড় তাপমাত্রা বিবেচনায় বছরের সবচেয়ে শীতল মাস হচ্ছে জানুয়ারি। এরপরই শীতের তারতম্যে ডিসেম্বর মাসের অবস্থান। এবারের জানুয়ারি মাস বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাসে পৌঁছে গেছে। এর আগে কোন মাসেই এতো বেশি শীত যশোরাঞ্চলে পড়েনি বলে আবহাওয়া অফিস জানায়। তীব্র শীতের কারণে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর শহরে মানুষের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে।

যশোরের আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা কমবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপট কমাতে পারবে না। আগামী বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশে মেঘ জমতে পারে। এ কারণে এদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে চলতে পারে দুই থেকে তিন দিন। এরপর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে বৃষ্টি চলে যাওয়ার পরদিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কিছুটা বাড়বে। তখন দিনে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমে আসবে। তবে রাতে শীতের তীব্রতা এখনকার মতোই থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের চার জেলা-রাজশাহী, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও দিনাজপুরের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে যশোরাঞ্চলে। ঘন কুয়াশা ও বাতাসের কারণে জেলার তাপমাত্রা কমে গেছে। যশোরে সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে এ শীতে গরীব মানুষের কষ্টের কোন সীমা থাকছে না। তারা শীতের কষ্টে কাহিল হয়েই রাতদিন পার করছেন। তারা এ কষ্ট নিবারনের কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!