যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এক মহিলা মেম্বার প্রার্থীকে আটকে মারপিটের অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ী প্রার্থী মর্জিনা খাতুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার(২ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী চম্পা খাতুন মামলাটি দায়ের করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার লাউখালী গ্রামের ইউনুচ আলী ও তার স্ত্রী নবনির্বাচিত মহিলা মেম্বার মর্জিনা খাতুন, মুরাদ আলীর ছেলে মনি এবং আয়নালের ছেলে আকরাম।
সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী চম্পা খাতুনের অভিযোগ, হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদে হেলিকপ্টার মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার বিপুল ভোটে জয়লাভের বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিদ্বন্দ্বী মর্জিনা খাতুন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে ও ভোটারদের জীবননাশের ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন তিনি বানিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে ভোট চাচ্ছিলেন। এ খবর জানতে পেরে মর্জিনা খাতুনসহ উল্লিখিত আসামিরা এসে তাকে ধরে জোরপূর্বক একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
এরপর ফের তিনি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে গেলে আসামিরা তার ওপর চড়াও হন। তারা তাকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন। এসময় তার কাছে থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও একটি সোনার চেন ছিনিয়ে নেন। তার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে লোকজন ছুটে এসে ফের তাকে উদ্ধার করেন। এছাড়া আসামিরা চম্পা খাতুনের কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে দেননি। এছাড়া ভোট গণনার সময় শুধুমাত্র আসামি মর্জিনা খাতুনের ভোট গণনা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই