যশোরে জেল পুলিশ সদস্যর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে শহরের ঘোপের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতের স্বামী বলেছেন, তিনি ডিউটিতে ছিলেন। ফোনে খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান৷ ঘরের সব দরজা খোলা ছিল৷
মৃতের মেয়ে আনিকা কবীর (১১) বলেছে, রাতে সে বাবা মায়ের সাথেই ঘুমিয়েছিলো। তাদের পরিবারে কোন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। সকালে প্রতিদিনের মতই সে স্কুলে চলে যায়। স্কুল থেকে ফিরে মায়ের মরদেহ দেখতে পায়। আনিকা পিজন্স স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী৷
মৃত ফারজানা কবীর বাগেরহাট জেলা সদরের ধূলিঘাটি গামের শাহীন হোসেনের মেয়ে। হাফিজুর একই জেলার পঞ্চমালা গ্রামের খান সুলাইমান মাষ্টারের ছেলে। হাফিজুর রহমান বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত রয়েছেন। তারা ঘোপের মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্য এএসআই শরিফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তারা হাফিজুরের ভাড়া বাড়িতে যান। তারা পৌঁছে দেখেন মরদেহটি হাফিজুর রহমান নিজেই নামিয়ে রেখেছেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস্ জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়না তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না ৷
খুলনা গেজেট/ এসজেড