যশোর শহরের শংকরপুর চাতালের মোড়ে আফজাল শেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুজন ওরফে টেরা সুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সে নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার জিন্নাত আলীর ছেলে।
এছাড়া এ মামলার আরও এক আসামিকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। আটক জুম্মাতুল ইসলাম শুভ বারান্দিপাড়া কলোনীর নুর ইসলামের ছেলে। শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
এদিন সুজন ওরফে টেরা সুজন ও শুভকে আদালতে সোপর্দ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম। দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, আসামিরা জবানবন্দিতে বলেছে নিহত আফজালের সাথে আসামি টেরা সুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। একসাথেই তারা নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাতেন। এরই মাঝে ২০২০ সালে দ্বন্দ্বের কারণে আফজাল টেরা সুজনকে ছুরিকাঘাত করে। এতে সুজন দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলো। এরপর সুস্থ্য হয়ে উঠে আফজালকে হত্যার পরিকল্পনা করে সুজন। ২৯ মে আফজাল শংকরপুরের জিরোপয়েন্ট থেকে দুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় টেরা সুজনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আফজালকে কুপিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে মারা যায় আফজাল।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের পিতা সলেমান শেখ বাদী হয়ে টেরা সুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামালায় বিভিন্ন সময়ে আটক ও আত্মসমর্পনকারী টেরা সুজন, জাহিদ, মিলন ও বিপ্লব গাজীর পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক টেরা সুজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকিদের রিমান্ড নামঞ্জুরের আদেশ দেন। পরে সিআইডি পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে টেরা সুজন স্বীকার করে এ হত্যার সাথে শুভ ছাড়া আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। সেই সুত্র ধরে শুভকে আটক করে দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।