যশোরে ময়না খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি শহরের বকচর হুশতলা এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। মৃতের পিতৃপক্ষের অভিযোগ তাকে যৌতুকের জন্যে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্বামীর পরিবারের দাবি সাংসারিক বিরোধের জের ধরে ময়না খাতুন আত্মহত্যা করেছে।
মৃতের ছোট বোন সাথী খাতুন জানান, দু’বছর আগে তার বড় বোন ময়না খাতুনের সাথে সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য তার বোনকে নির্যাতন করছিলো স্বামীর পরিবার। শুক্রবার দুপুরে সিরাজুল ইসলাম স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু ময়না বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাদের দু’জনের মধ্যে বিরোধ হয়। এরপর থেকে ময়না খাতুন নিখোঁজ ছিলো। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে মায়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন রেল লাইনের ওপর ময়নার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মৃতের ছোট বোন সাথী খাতুনের অভিযোগ, তার বড় বোন ময়না আত্মহত্যা করেনি। যৌতুকের টাকার জন্য তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রেল লাইনের উপর ফেলে রেখে এসেছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এ মৃত্যুটি রহস্যজনক। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জনতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।