যশোরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা রবিবার সকাল থেকে তাদের ফার্মেসি বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করেছে। নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দু’জন ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদে তারা এ অনৈতিক কাজ শুরু করেছে। আটক দু’জনের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষনা দিয়েছে।
এদিকে, শহরে ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে অসুস্থ মানুষেরা। তারা প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছে না। অবশ্য পুলিশ বলেছে, ব্যবসায়ী দু’জনের দোকান থেকে নকল ওষুধ পাওয়া গেছে, বিধায় তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ শহরের ঘোপ জেলরোড এলাকা থেকে কাশিমপুর সার্জিক্যাল অ্যান্ড মেডিসিন হাউজ থেকে ১৪৩ পিস নকল মনটেয়ার-১০ ট্যাবলেটসহ দোকানের মালিক ইব্রাহিম সরদারকে (৩৭) আটক করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মাইকপট্টি এলাকার জমজম ড্রাগ হাউজ থেকে ১০টি মনটেয়ার-১০ ট্যাবলেটসহ ফার্মেসির মালিক জহির উদ্দিন সুইটকে (৪২) আটক করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতােয়ালি থানায় মামলা (নম্বর ৬৯/২১.১১.২০২০) করেন।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি যশোরের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চাকলাদার ইদুল বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সদস্যরা দোকান বন্ধ রেখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যশোরের ডিসিকে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে। তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি বলেন, কোনও ফার্মেসিতে যদি নকল ও ভেজাল ওষুধ থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অথবা ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করতে পারেন। কিন্তু পুলিশ কীভাবে বুঝবে এটি নকল ওষুধ। কেননা আমরা কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে সেগুলো বিক্রি করি।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নকল ওষুধ বিক্রি করলে পুলিশ তো তাদের আটক করবেই। এতে যদি তারা ধর্মঘট করে তাহলে বলার কী আছে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে তাকে তো আমরা আইনের আওতায় আনবোই। তাকে ছাড় দেয়া অপরাধ হবে।