যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাত ওরফে হুজুর ইয়াসিন হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। এতে অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার তোরাব আলীর তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে স্বর্ণকার রানা, রুবেল হোসেন ও হাফিজুর রহমান, রেজাউল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের ওরফে শান্ত, শংকরপুর আকবরের মোড় এলাকার আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, সৈয়দ আহমেদের ছেলে শফিক, একই এলাকার ময়না, বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার খবির আলী শিকদারের ছেলে জীবন শিকদার, শংকরপুর মাঠপড়ার আইয়ুব আলী মিস্ত্রির ছেলে সুমন ও বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার আব্দুল মজিদ ড্রাইভারের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে নজু ডাকাত। এরমধ্যে সুমন, ময়না ও নজু ডাকাতকে পলাতক এবং বাকি ৬ জনকে আটক দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে নয়জনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। এ মামলার অপর আসামি বদিউজ্জামান ধনি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শংকরপুর রেললাইন সংলগ্ন ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হন আলোচিত ইয়াসিন আরাফাত ওরফে হুজুর ইয়াসিন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বাড়ি নির্মাণে ইট বালির ব্যবসা থেকে চাঁদা আদায় এবং কয়েক বছর আগে আসামি স্বর্ণকার রানা’র ওপর হামলার জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।