যশোরে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে স্বামীর শরীরে বিষাক্ত অ্যাসিড পুশ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে নৃশংস এ হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক বধূ শেফালি বেগম স্বামীকে নতুন কৌশলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত জহির হাসান (৩৮) যশোর শহরের বকচর হুশতলার মৃত হোসেন আলীর ছেলে। তিনি একটি চশমার দোকানে কাজ করতেন। জহিরের স্ত্রী শেফালি একটি বেসরকারি হাসপাতালের আয়া হিসেবে কর্মরত।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, শহরের শংকরপুরের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েছিলেন শেফালি। এ নিয়ে সোমবার স্বামী জহিরের সঙ্গে তার গোলযোগ হয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন শেফালি। ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়েন স্বামী জহির। সন্ধ্যার দিকে তার শরীরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে পানিতে ভিজিয়ে রাখা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে নিসৃত অ্যাসিড পুশ করেন শেফালি। এতে জহিরের মৃত্যু হয়। পরে রাতে শেফালি জহির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে পরিবারকে জানান। তখন জহিরের ছোট ভাই ফেরদৌস রাত দেড়টার দিকে তাকে নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জহিরের স্ত্রীর পরকীয়া ও এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের কথা জেনে শেফালিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন ও ঘটনার বর্ণনা দেন।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান বলেন, নিহতের শরীরে ইনজেকশনের ক্ষত দেখা গেছে। ক্ষত থেকে রক্তপাত হবার চিহ্নও পাওয়া গেছে। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম