প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো যশোরের ৩৩৩ ভূমিহীন পরিবারের। এরমধ্য দিয়ে জেলার শার্শা, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার (২২ মার্চ) ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত রিকশা চালক আকবর আলীর পরিবার। জমির দলিল ও ঘরের চাবি পাওয়ার পর চোখ থেকে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে। বারবার চোখ মুচছিলেন আর বলছিলেন এ পাওয়ার আনন্দ বুকের ভেতর ধরে রাখতে পারছি না। তাই অবচেতন মনে চোখ থেকে বেরিয়ে আসছে পানি। নিজের জীবন কেটে গেছে পরের ঘরে, এখন স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকবো নিজের ঘরে। এসব যেন স্বপ্ন আকবর আলীর কাছে।
রিকশা চালক আকবর আলীর বসবাস শহরের খালধার রোডের ভাড়া করা একটি ঘরে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছেন সদর উপজেলার ফতেপুরে। দুই শতক জমির ওপর পাকা ঘরে উঠেছেন আকবর আলী।
ঘর পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অশ্বিন কুমার নামে আরেক উপকার ভোগী। তিনি বলেন, নিজের একটা বাড়ির স্বপ্ন দেখতাম, সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। তার মতো যশোরের ৮ উপজেলার ৩৩৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোরে মোট এক হাজার ৭৬১টি বাড়ি ও জমি ভূমিহীনদের মাঝে উপহার দেয়া হয়েছে। বুধবার চতুর্থধাপে জেলায় ৩৩৩টি পরিবারের মাঝে এ ঘর দেয়া হলো। এই বাড়ি ও জমির দলিল হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হলো যশোরের শার্শা, বাঘারপাড়া ও কেশবপুর উপজেলা। বাকী উপজেলাগুলো এ বছরেই ভূমিহীনমুক্ত করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে যশোর সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে বর্ণিল আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলিল ও ঘরের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড