যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দীনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রাতভর অবস্থানের পরে শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে চৌগাছা-যশোর সড়ক-সংলগ্ন ফারহানা টাওয়ারে তল্লাশি চালিছেন তারা। জসিম উদ্দীন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা বাসমালিক সমিতির সভাপতি।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ডিবি পুলিশের সদস্যরা চৌগাছা পৌর শহরের ফারহানা টাওয়ার ঘেরাও করে রাখে। সকালে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালানো হয়।
ডিবির সদস্যরা জানিয়েছেন, একটি ডাকাতি মামলার তদন্তের ব্যাপারে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু বাড়ির লোকজন ডিবির কাজে অসহযোগিতা করেছেন। তারা গেট না খোলার কারণে সারারাত বাসার চারদিকে তাদের অবস্থান করতে হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ডিবির সদস্যরা জসিম উদ্দীনের বাড়ির সামনে যান। এরপর তারা বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু বাসার গেট না খোলার কারণে তারা প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন। সকালে জসিম উদ্দীনের শ্বশুর ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায় ডিবি পুলিশ। অবশ্য এসময় জসিম উদ্দীন বাড়িতে ছিল না।
তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তঃজেলা ডাকাতদলের এক সদস্যের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জসিম উদ্দীন আসামি হয়েছেন। এ কারণে তাকে আটকে ও ডাকাতি করা মালামাল উদ্ধারের জন্য তারা অভিযান চালিয়েছেন।
জসিম উদ্দীনের স্ত্রী ফারাহানা ইসলাম জানান, রাতে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন ডিবি পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু বাসায় কেউ না থাকায় দরজা খুলিনি। এছাড়া তারা সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেননি।
এ বিষয়ে জেলা গেয়োন্দা শাখার (ডিবি) ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, ‘বাঘারপাড়ার একটি সড়ক ডাকাতি মামলায় আটজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে এক আসামি ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে জসিম উদ্দীনের নাম উল্লেখ করেছেন। জসিম উদ্দীন বাড়িতে নেই, এ কথাটি আমাদেরকে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। যার কারণে অভিযানের জন্য সারারাত তাদের অবস্থান করতে হয়েছে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই