যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে আলম মন্ডল নামে এক রিকসা চালককে পিটিয়ে ও রগকেটে হত্যার ঘটনায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সিকে আটক করেছে পুলিশ। একইসাথে আরো কয়েকজনকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। তবে রক্সির আটকের বিষয়টি পুলিশ স্বীকার করলেও অন্যদের আটকের বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
হত্যার ঘটনায় নিহত আলম মন্ডলের স্ত্রী রেকসোনা বেগম ২৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, চুড়ামনকাটি এলাকার মেহেদী হাসান রুনু, মানিক, সুমন হোসেন, শাহাবুদ্দিন, সেলিম হোসেন, আজাদ, মাহবুব হাসান রানু, রকি, বাদল, মাহমুদুর হাসান মামুন, জাকির হোসেন দারা, ইকরাম হোসেন, সাদ, মোফাজ্জেল হোসেন, আলম হোসেন, শিমুল, সুমন হোসেন, আমিরুল ইসলাম, রানা, তবিবর রহমান তবি, বাক্কার, রাসেল ও রফিক উদ্দীন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ইউপি মেম্বর মাহবুব হাসান রানুু, মৃত আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে মানিকসহ ১০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আলম হত্যার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে। রাতেই এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যার সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উলেখ্য, শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে ও রগকেটে আলম মন্ডল নামে এক রিকশা চালককে খুন করা হয়। নিহত আলম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।