কক্সবাজার উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে খেলাধুলার সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে মেসি-নেইমারের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
শরণার্থী শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানো ও মানবিক চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে কেনিয়ার কালোবেয়িতে একটি ক্লাব হাউস গঠন (ক্লাবু) সহযোগিতায় ইউএনএইচসিআর ও ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
এগিয়ে যাওয়া ক্লাবু কার্যক্রমে শুরু থেকেই সহযোগিতা করছে পিএসজি। বাংলাদেশে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিশুদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানো ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পিএসজির এনডাওমেন্ট ফান্ডের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ স্পোর্টস লাইব্রেরি তৈরি করেছে ক্লাবু। যার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রী দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যেই কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি পিকআপ গাড়ির ভ্রাম্যমাণ স্পোর্টস লাইব্রেরি যাত্রা শুরু করেছে রোহিঙ্গা শিশুদের জার্সি ও খেলাধুলার সামগ্রী দেওয়ার জন্য।
এদিকে পিএসজির এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত শিশুরা। ইতিমধ্যে গাড়িটা সবার নজর কেড়েছে। এটা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ। গাড়িটা যেদিকে যায়, মানুষ সেদিকে ভিড় করে।
উখিয়া বালুখালী ৫ নং ক্যাম্পের শরণার্থী বক্কর বলেন, এই উদ্যোগ আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এমনিতেই রোহিঙ্গারা ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। তার মধ্যে মেসি-নেইমারের ক্লাব পিএসজির সহযোগিতায় আমরা খেলতে পারছি, এটা আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো।
আরেক শরণার্থী হোজাইফ জানান, মেসিকে ভালোবেসে টিভিতে পিএসজির খেলা দেখতাম, কিন্তু এখন সে ক্লাব খেলাধুলার সমগ্রী নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির, এটার চেয়ে কী আর আনন্দের হতে পারে?
বাংলাদেশি যুবক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, হঠাৎ ইউরোপীয় ক্লাব পিএসজির অফিসিয়াল পেজে আমাদের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুরা খেলাধুলা করছে, এই ভিডিও ক্লিক দেখেই সশরীরে দেখতে চলে এলাম। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা শিশুদের দেওয়া হয়েছে জার্সি-ফুটবল থেকে শুরু করে ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, বাস্কেটবল খেলার সরঞ্জাম। উখিয়ার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে এসব সামগ্রী। এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে খেলার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে শিশুরা।
ক্লাবুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কেনা জার্সিগুলোর অর্থও জমা পড়ে রোহিঙ্গা শিশুদের স্পোর্টিং ক্লাব তৈরির তহবিলে।