ছয় বছর এদিক ওদিক। ভেন্যু সেই ন্যু ক্যাম্প; স্কোরলাইনটা একই, ৩-০। তবে এবার বদলে গেল জয়ী দলটার নাম৷ বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে নতুন এক লজ্জাই উপহার দিয়ে গেল বায়ার্ন মিউনিখ।
পরিস্থিতি অবশ্য বদলে গেছে আরও আগেই। ৬ মে ২০১৫ সালের সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দল দুটো থেকে চেহারা বদলে গেছে অনেকগুলো। সবচেয়ে বড় চেহারাটাই তো নেই। লিওনেল মেসি সেদিন জোড়া গোল করে, একটি করিয়ে শিরোনাম কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই মেসিই যে নেই বার্সার।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে বায়ার্নকে বার্সা হারিয়েছে দু’বার। দু’বারই মেসি করেছিলেন জোড়া গোল। সেই মেসিকে ছাড়াই যখন সেই বায়ার্নের মুখোমুখি বার্সা, তরুণ দলে ভরসাটা ভালোই রেখেছিলেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান।
সে ভরসার প্রতিদান অবশ্য খুব ভালোভাবে দিতে পারেনি তার শিষ্যরা। পুরো ম্যাচেই তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে সফরকারী বায়ার্ন। প্রথমার্ধে রবার্ট লেভান্ডভস্কি বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছিলেন বলে বাঁচোয়া, নাহয় যে প্রথমার্ধ শেষেই বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হতো বার্সাকে! সেটা হয়নি বলেই ৩৩ মিনিটে থমাস মুলারের করা গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় কোচ জুলিয়ান নাগেলসমানের দল।
পুরো ম্যাচে বার্সেলোনা খেলেছে প্রতি-আক্রমণের কৌশলে। তবে ভোঁতা সেসব আক্রমণ বায়ার্নকে কোনো বিপদেই ফেলতে পারেনি। উল্টো প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা লেভান্ডভস্কি পেলেন জোড়া গোল। তাতেই স্কোরলাইনটা দাঁড়ালো ৩-০ তে।
দুই দলের সবশেষ দেখায় বায়ার্ন ৮-২ গোলে জিতেছিল। সে তুলনায় এ ফলাফল অন্তত বার্সার জন্য বেশ ‘ভালো’। তবে বার্সাভক্তদের কপালে চিন্তার রেখা ফেলে গেছে দলের পারফরম্যান্স। পুরো ম্যাচে একটা শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি, চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এমন কিছু দলটির সঙ্গে হয়নি কখনো। বলের দখলে পিছিয়ে ছিল বেশ। সবচেয়ে বড় বিষয়, ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটে কখনো মনেই হয়নি এই বার্সা জিততে পারে আজ৷ ৩-০ ব্যবধানের এই হারও তাই যেন সেই ৮-২ এর চেয়েও বেশি লজ্জা দিয়ে গেল বার্সাকে।
খুলনা গেজেট/ টি আই