ধীরে ধীরে জাতীয় দল থেকে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে তাকে আর বিবেচনা করা হচ্ছে না। এবার ওয়ানডে দলেও সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। ফলে গুঞ্জন চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে কি মাহমুদউল্লাহ অধ্যায় শেষ।
মাহমুদউল্লাহ সবশেষ চলতি বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। এবপর ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ছিলেন না টাইগার স্কোয়াডে। সবশেষ আসন্ন ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও দলে তাকে নেওয়া হয়নি।
বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য গুঞ্জনের পথেই হাঁটলেন। তিনি চলতি বছরে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে দেখছেন না। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বলা হচ্ছে বিশ্রামে রাখা হয়েছে রিয়াদকে। তবে তার মতে, যদি বিশ্বকাপ দলেই রিয়াদ থাকত তাহলে এই সিরিজগুলোতে তাকে দেখা যেত।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সুজন বলেন, ‘রিয়াদ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অবশ্যই। বাংলাদেশ দলকে সে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। কিন্তু যদি আমি সত্যি বলি, যেহেতু ও জাতীয় দলে নেই, আমি যেভাবে দেখছি, রিয়াদকে আমি বিশ্বকাপে দেখছি না। কারণ যদি তাকে বিশ্বকাপে দেখতাম এই সিরিজগুলোতে থাকতো। হয়তো হৃদয় ভালো করছে, আফিফও এখন দলে নেই। তারপরও সুপার লিগের ম্যাচগুলোতে রিয়াদ নিজেকে কীভাবে মেলে ধরে সেটাও দেখার বিষয়।’
এদিকে ঘরোয়া লিগে নিয়মিত খেলছেন রিয়াদ। তবে সুজনের পরামর্শ, তাকে নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে যেন বিশ্বকাপের বেশ আগেই আবারও জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, ‘রিয়াদ যখনই খেলেছে বাংলাদেশের জন্য, খুব গুরত্বপূর্ণ একটা জায়গায়। যেখানে আপনি হিরোও হতে পারেন, জিরোও হতে পারেন। রিয়াদ হয়তো দুটির স্বাদই পেয়েছে। ওর অনেক ম্যাচ আছে যেগুলো একাই জিতেছে। আসলে মূল কথা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিটা আসল। রিয়াদকে দলে কতটুকু দরকার বা ওর বদলে যারা খেলছে পারফর্ম করছে কি না।’
‘যদি পারফর্ম করে, দল যদি সন্তুষ্ট থাকে; তাহলে রিয়াদের সুযোগ কম থাকবেই। যদি ওরকম না হয়, রিয়াদের অভিজ্ঞতা তো আছেই। যেকোনো সময় ব্যাক করলে পারফর্ম করতে পারবে সেটা আমরা সবাই বিশ্বাস করি। সময় তো আছে, একদমই রিয়াদ যে বাহির হয়ে গেছে তা না। কিন্তু আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ আনা ঠিক হবে না। তার আগেই ওকে এনে সিরিজ ও ম্যাচ দিতে হবে।’-যোগ করেন সুজন।
খুলনা গেজেট/এনএম